মানবতাবাদ হল একজন ব্যক্তির প্রতি অন্যজনের ভালবাসা, প্রতিটি ব্যক্তির  প্রতি মূল্যবোধ, সমাজের প্রতিটি সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব তৈরী হওয়া,ধর্ম নিরপক্ষতার আলোকে মানব কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া।

মানবতাবাদ সম্পর্কে যুক্তিতর্ক চলেনা কারন বিবেক আত্মা দ্বারা মানবতা পরিচালিত হয় এটি হিউম্যানিজমের ক্ষেত্রেও রয়েছে – মানুষের মঙ্গলার্থের জন্য উদ্বেগের সাথে মিশে জীবনের একটি তত্ত্ব হিসাবে উপলব্ধি করা যেতে পারে। মানব সমাজের আধ্যাত্মিক বিকাশের মূল ও চালিকা শক্তি এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে এবং অবশ্যই মানবতাবাদ হ’ল মানব সমাজের সকল অধিকারের ভিত্তি তৈরী করে: অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক,নাগরিক জীবর ধারা পরিচালিত করে। মানবতাবাদ কেবল একটি বিশ্বদর্শন। সমাজের কলুষিত অধ্যায়ের পরিবর্তন ও উদ্ভাবনের নাম মানবতা।গবেষক ও উদ্ভাবকগণের ক্রিয়াকলাপ এবং তাদের উদ্দেশ্য ধারণাগুলি বাস্তবায়নে আগ্রহী হওয়া ।
মানবতাবাদ একজন ব্যক্তির মধ্যে সেরাটি প্রকাশ করে এবং এটিকে সকলের সেরা সম্পত্তি হিসাবে দেখায় । অতএব, মানবতাবাদের অন্যতম মূলনীতি – প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা থাকে যা শ্রদ্ধার যোগ্য এবং এটি রক্ষা করা। সামন্তবাদী ও ধর্মীয় মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় রেনেসাঁর মানবতাবাদের উদ্ভাবন হয়েছিল। মানবতাবাদী ধারণাটি বিশেষত ইটালিতে জনপ্রিয় ছিল- ইউরোপীয় দেশগুলিতে সংস্কারের মাধ্যমে মানবতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। ফরাসী এম মন্টাইগেন, ভিভস, সার্ভেন্টেস জার্মান মানবতাবাদীদের মাধ্যমে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ইংল্যান্ড পরবর্তীকালে বিভিন্ন বুর্জোয়া বিপ্লবের সময়কালে মানবতাবাদের ধারণাগুলি বিকাশ লাভ করে এবং আজও সম্মানিত এবং বিকশিত হচ্ছে।